নিউজ ডেস্ক।।
কুমিল্লার লাকসামে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীদের হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতা মারা গেছেন। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার রাত সোয়া ৮টার দিকে মারা যান তিনি। নিহত ছাত্রলীগ নেতার নাম ইফতেখার অনিক। অনিক লাকসাম পৌরসভা ছাত্রলীগের সহসভাপতির পদে ছিলেন।
লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. ইউনূছ ভূঞা গতকাল রাতে অনিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মো. ইউনূছ ভূঞা জানান, ২১ জুন রাতে লাকসাম পৌর শহরের দক্ষিণ বাইপাস এলাকায় পৌরসভা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ইফতেখার অনিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম সৌরভ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা আলমগীর হোসেনের ওপর যুবদলের কর্মী সায়মুন রহমান রকির নেতৃত্বে ছাত্রদলের কতিপয় সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালান। ওই সময় তাঁরা ছাত্রলীগের নেতা অনিক, সৌরভ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতার বুকে ও পাঁজরে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহতদের প্রথমে লাকসাম এবং পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মো. ইউনূছ আরও জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত ইফতেখার অনিকের অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন রাতেই তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে অনিককে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে গতকাল রাতে অনিকের মৃত্যু হয়। অনিকের মতোই বাকি দুজন কুমিল্লা মেডিকেলে আইসিইউতে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন।
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহাফুজ বলেন, ‘অনিক আহত হওয়ার ঘটনায় তাঁর বাবা মনির আহমেদ ২২ জুন ছাত্রদলের ছয়জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়েরের পর আমরা অভিযান চালিয়ে একজনকে ওই রাতেই গ্রেপ্তার করি। গতকাল রাতে অনিক মারা যাওয়ায় মামলাটি এখন হত্যা মামলায় পরিণত হয়েছে। পালাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালাচ্ছে।’
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার বাদ আছর অনিকের জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page